নিজস্ব প্রতিবেদক : বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়ে খুশি জামালপুরবাসী। তাই ট্রেনটিকে বরণ করে নিতে প্লাটফর্মে উপচে পরা ভীড় ছিলো মানুষের। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের বরণ করা হয়েছে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে। দীর্ঘ এক দশকের আন্দোলনের পর ট্রেনটি পেয়ে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পৌছালে যাত্রীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয়রা।
এসময় পুরো স্টেশন এলাকায় বয়ে যায় আনন্দের জোয়ার। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর স্টেশন থেকে ছাড়ায় উপকৃত হবেন আশেপাশের কয়েক জেলার মানুষ।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয় ২০১৪ সালে। এই ট্রেনটিতে জামালপুরের জন্য আসন রাখা হয়েছে ২২৭টি। আসনের ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৪৩০ টাকা থেকে ১৫২৭ টাকা। সপ্তাহে ৬দিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে জামালপুর থেকে ছেড়ে গিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌছাবে ভোর ৫টার দিকে।
যাত্রীরা বলছেন, আগে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করতে ময়মনসিংহে গিয়ে অপেক্ষা করতে হতো তাদের। এতে অপচয় হতো অর্থ ও সময়। এই ট্রেনটি জামালপুর থেকে ছাড়ায় এখন বাচবে মূল্যবান সময় ও অর্থ। এতে সুবিধা পাবেন এই রুটে চলাচলকারী হাজারো শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীরা। জামালপুর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত হবে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে আরো সুবিধা পাবেন তারা।
তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও ট্রেনটি কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করতে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন তারা।
জামালপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন স্টেশন মাস্টার আসাদ উজ জামান বলেন, আজ আমাদের মাঝে কাঙ্ক্ষিত বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসেছে। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসার মাধ্যমে জামালপুরবাসীর আশা আকাঙ্খা পূর্ন হলো। জামালপুরের মানুষ খুব অল্প খরচে চট্রগ্রামে যাতায়াত করতে পারবে।