নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খাঁন নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের খামার গেদরা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে ও যদুরচর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) একই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।
গত ১ ডিসেম্বর রাতে বিয়ের কথা বলে ওই ছাত্রীর নিজ ঘরে যান সাইফুল ইসলাম এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এসময় ওই ছাত্রীর ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে সাইফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই রাতেই সাইফুল ইসলামের বাবা ফরিদ মিয়া ও তার মা খাইরুন নেছা তার ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাইফুল ইসলামকে নিয়ে যান।
এরপর থেকেই সাইফুল ইসলাম লাপাত্তা হয়ে যায়। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় ওই মাদরাসা ছাত্রী সাইফুল ইসলামকে আসামি করে রবিবার বিকালে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খাঁন জানান, মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এস আর /জামালপুর লাইভ